মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বাপ্পা মণ্ডল খুনের ঘটনার তিন দিনের মাথায় কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় বহরমপুর থানার পুলিশ আক্রম শেখ নামে এক যুবককে রবিবার গ্রেফতার করেছে। ধৃত জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান টাকা-পয়সা নিয়ে লেনদেনের জেরেই আক্রম বাপ্পাকে অপহরণ করে খুন করেছিল।
বহরমপুরে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ, CBI দাবি অধীরের
মুর্শিদাবাদের পুলিশসুপার কে শবরী রাজকুমার জানান, ধৃত আক্রম শেখ বাপ্পা মণ্ডলের পূর্ব পরিচিত ছিল। সে দাবি করেছে, একাই এই ঘটনা সঙ্গে যুক্ত ছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, আক্রমের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ধরে নিয়েছিল বাপ্পা। কিন্তু বারবার চেয়েও সেই টাকা আদায় করতে না পেরে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আক্রম। সেইমতোই গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাপ্পাকে ফোন করে ডেকে পাঠায় আক্রম। এরপর বাপ্পা নিজেই আক্রমের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের মধ্যে কোনও কিছু নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পরেই বাপ্পাকে আক্রম খুন করেছিল। পুলিশের দাবি, বাপ্পাকে খুন করার পর মুক্তিপণ চেয়ে বাপ্পার বাবাকে ফোন করেছিল আক্রম।
ধৃত যুবক বাপ্পার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বাপ্পারই ফোন ব্যবহার করেছিল। সে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবে বাপ্পার বাবা দেড় লক্ষ টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু, বাপ্পার বাবা টাকা নিয়ে অপহরণকারীর নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গাতে পৌঁছতেই ঘটে বিপত্তি। অপহরণকারীর সন্দেহ হয় বাপ্পার বাবা সঙ্গে পুলিশ নিয়ে এসেছে। এরপরে বাপ্পাকে খুনের হুমকি দিয়ে ফোন সুইচ অফ করে দেয় অভিযুক্ত। পরদিন বহরমপুরে একটি রাস্তার পাশ থেকে বাপ্পার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।