মুর্শিদাবাদে টেন্ডার নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্তদের পুনে থেকে গ্রেফতার করল বড়ঞা থানার পুলিশ। তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে আসে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গত ১৩ অগস্ট মুর্শিদাবাদের বড়ঞার কুরুন্নরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মোস্তাফা শেখকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে খুন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সুন্দরপুর বাজার থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তাফা। হস্তিনাপুর গ্রামের কাছাকাছি আসতেই মোস্তাফাকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বোমার ঘায়ে বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান মোস্তাফা। তারপরই তাঁকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা।
ঘটনার পর ঘটনার পরই বীরভূমের এক আত্মীয়র বাড়ি চলে যায় ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সবুর শেখ। আরও দুই দুষ্কৃতীও গা ঢাকা দেয়। তবে তদন্তে নেমে সবুরের খোঁজ পেয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছে তল্লাশি চালাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায় সবুর। সেদিনই রাজ্য ছেড়ে পুনেতে গিয়ে আশ্রয় নেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার মূল অভিযুক্ত সবুর শেখের সঙ্গে গা ঢাকা দেয় সাদ্দাম শেখ ও ফুরাই শেখ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টেন্ডার নিয়ে বিবাদের জেরে খুন করা হয়েছিল ওই তৃণমূল নেতাকে। মোস্তাফার সঙ্গে টেন্ডার নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সবুর শেখ। তার জেরেই পথের কাঁটা রাস্তা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সবুর শেখ। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছিল মোস্তাফার পরিবারের লোকেরা। তারপরেই পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে, ওই ৩ দুষ্কৃতি পুনেতে গিয়ে লুকিয়ে রয়েছে। বড়ঞা থানার পুলিশের একটি দল পুনায় গিয়ে ওই ৩ অভিযুক্তকে পাকড়াও করে ট্রানজিট রিমান্ডে মুর্শিদাবাদে নিয়ে আসে। তারপর ধৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।