কাগজ কুড়ানোর নাম করে কখনও বাড়ি থেকে মোবাইল, আবার কখনও মূল্যবান সামগ্রী চুরি। ধরা পড়লেও অবশ্য ওদের কিছুই হতো না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যেত ওই দুই তরুণী। কারণ ধরা পড়লেই তারা সরাসরি সঙ্গমের প্রস্তাব দিত। আর সেই প্রস্তাবে রাজীও হয়ে যেত অনেকেই। যে কারণে অনেকবার ধরা পড়ার পরেও পুলিশের হাতে তোলা হয়নি তাদের। সন্দেহের বশে দুই তরুণীকে আটক করার পর এমনই তথ্য জানতে পেরেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তাদের দুজনকেই পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে প্রথমে ওই দুই তরুণীকে আটক করে পুলিশ। তাদের ব্যাগ থেকে প্রচুর পরিমাণে চোরাই সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। বৈদ্যুতিন তার থেকে শুরু করে বাসনপত্র, অলঙ্কার প্রভৃতি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দুই তরুণী দক্ষিণ ২৪ পরগনা ঘুটিয়ারী শরিফের বাসিন্দা। গত কয়েক মাস ধরে তারা নরেন্দ্রপুর, সোনাপুর, বারুইপুর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এভাবেই কাগজ কুড়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরি করে বেড়াচ্ছিল।
সন্ধ্যা নামলেই তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরতো চুরির উদ্দেশ্যে। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি গর্ভনিরোধক ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, কোথাও তারা ধরা পড়লে সে ক্ষেত্রে তারা সরাসরি সঙ্গমের প্রস্তাব দিত। বিপদ এড়াতেই তারা গর্ভনিরোধক ওষুধ সঙ্গে রাখত। শুধু তাই নয়, তাদের কাছে রয়েছে তালা ভাঙার যন্ত্র। এখন তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।