ক্রেতা বলতে স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। তাদের কাছেই হাত বদল হয়ে চলে যেত হেরোইনের পুরিয়া। অভিযোগ মূলত তাদের কাছে বিক্রির জন্যই বুধবার রাতে মাদক নিয়ে আসা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ সন্দেভাজন দুজনকে তাড়া করে। এরপর একেবারে ফিল্মি কায়দায় তাদের পুলিশ পাকড়াও করে। তাদের কাছ থেকে ২৫০ গ্রাম হেরোইন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ২৫০ গ্রাম হেরোইনের মূল্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম শেখ আইনুল। তার বাড়ি দুবরাজপুর থানার খোঁয়াজ মামুদপুর। ধৃত অপরজনের বাড়ি শেখ আমিনুর। তার বাড়ি দুবরাজপুরেরই বোদাকুড়ি গ্রামে। ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়েছিল। ১০দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। তবে আদালত সাতদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বাইকে করে এই মাদক নিয়ে আসা হচ্ছিল। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে এই মাদক পায়। সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী জানিয়েছেন, বুধবার রাতে স্থানীয় জঙ্গল এলাকা থেকে পুলিশ দুজনকে ধরে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ ২৫০ গ্রামেরও বেশি হেরোইন উদ্ধার হয়। যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এই হেরোইন মূলত বিভিন্ন জায়গায় স্কুলে, কলেজে পাচার করত। বিভিন্ন ছেলে মেয়েদের এরা মাদকে আসক্ত করে তুলত। পুলিশ জেরা করে সেটাই পেয়েছে। এদিকে স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের জন্য হেরোইন নিয়ে আসার অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।