বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Fake FIR: বিয়ের নথি জাল করে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ অবিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে, ধৃত তরুণী

Fake FIR: বিয়ের নথি জাল করে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ অবিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে, ধৃত তরুণী

গ্রেফতার তরুণী। প্রতীকী ছবি

দুজনেই একটি আইটি ফার্মে কাজ করেন। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে ক্রমেই সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়। তরুণীর অভিযোগ, ওই যুবক তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে অস্বীকার করেন। সেই ক্ষোভে ওই তরুণী বিয়ের জাল সার্টিফিকেট করে ওই যুবকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টা অভিযোগ এনেছিলেন।

বিয়ে করেননি অথচ অবিবাহিত এক যুবকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন এক তরুণী। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক বিবাহিত নয়। এরপরে যুবকের পালটা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যুবকের নাম নীলাদ্রি দত্ত। অভিযুক্ত তরুণীর নাম বাচেন্দ্রী রায়। ঘটনাটি উত্তর দমদম থানার এলাকার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলাদ্রি মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে, তরুণীর বাড়ি বাগুইআটিতে। দুজনেই একটি আইটি ফার্মে কাজ করেন। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে ক্রমেই সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়। তরুণীর অভিযোগ, ওই যুবক তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। সেই ক্ষোভে ওই তরুণী বিয়ের সার্টিফিকেট জাল করে ওই যুবকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টা অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় পাঁচ মাস আগে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ৩৪ দিন জেলে থাকার পর জামিন পান ওই যুবক। পরে ওই যুবক মহিলার বিরুদ্ধে তিনি পালটা অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরে তদন্ত নেমে পুলিশ ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তরুণী অন্য এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে দমদম বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন। ওই যুবক নিজেকে নীলাদ্রি দত্ত হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং আধার ও ভোটার কার্ড-সহ নীলাদ্রির যাবতীয় নথির প্রতিলিপি জমা দিয়েছিলেন। তা দেখে সন্দেহ হয় বিয়ের রেজিস্ট্রারের। তবে ওই ব্যক্তি জানান, সেই সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। অভিযোগ দায়ের করার সময় ওই তরুণী মধ্যমগ্রাম থানায় বিয়ের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। ওই যুবক বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যখন মধ্যমগ্রাম পুলিশ আমাকে বধূ নির্যাতনের জন্য গ্রেফতার করেছিল। আমি পুলিশকে বারবার বলেছি যে আমি বিয়ে করিনি। তারপরেও পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে। আমাকে ৩৪ দিন জেলে কাটাতে হয়েছিল। তারপরে আমি জামিন পেতেই পালটা অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য নীলাদ্রি ওই তরুণীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন।

দমদম থানার অফিসার বঙ্কিম বিশ্বাস বলেন, ‘একজন হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞের তদন্তে জানা গিয়েছে, বিয়ের শংসাপত্রে নীলাদ্রির স্বাক্ষর জাল ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন