উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়া থানা এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ও রিলস তৈরির নাম করে এক নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউটিউবার ও তার নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে। এই গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার নাবালক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে গণধর্ষণকাণ্ডে CJI-কে চিঠি চিকিৎসক সংগঠনের, রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্যভবনের
নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তার বাবা কলকাতা পুলিশে কর্মরত। তাদের বাড়ি হাড়োয়া থানার মোহনপুর এলাকায়। সেখানে অভিযুক্ত ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডলেরও বাড়ি। অভিযোগ, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার নাবালক ছেলে গত কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীকে ভিডিয়ো এবং রিলস বানানোর প্রস্তাব দেয়। প্রতিবেশী হওয়ায় কিশোরীর পরিবার প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। ভিডিয়ো বানানোর নাম করে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু এই আপাত নিরীহ ভিডিয়ো তৈরির আড়ালে যে এক ভয়ঙ্কর জাল বিছানো হচ্ছিল, তা বুঝতে পারেনি কিশোরীর পরিবার।
অভিযোগ উঠেছে, ভিডিয়ো বানানোর ফাঁকেই ওই নাবালিকার কিছু গোপন ছবি ও ভিডিয়ো গোপনে তুলে নেওয়া হয়। এরপর সেই ছবি ও ভিডিয়ো দেখিয়েই শুরু হয় ভয়ংকর ব্ল্যাকমেলিং। ওইসব গোপন ছবি ও ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অরবিন্দ মণ্ডল এবং তার নাবালক ছেলে মিলে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে নাবালিকাটি ভয়ে চুপ ছিল।
তবে শেষপর্যন্ত এই নারকীয় অত্যাচারের কথা আর চেপে রাখতে পারেনি নির্যাতিতা। গত শুক্রবার সে গোটা বিষয়টি পরিবারের কাছে জানায়। এরপরই পরিবারের সদস্যরা আর দেরি না করে হাড়োয়া থানায় ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। আজ, রবিবার সকালেই অভিযুক্ত ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার নাবালক ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত দু'জনকেই এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।