বিসর্জনের সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ! পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে মদ্যপ যুবকদের হাতে মার খেয়ে গুরুতর জখম হলেন এক পুলিশ কর্মী। শুক্রবার গভীর রাতে উজিরপুর এলাকায় এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আহত অবস্থায় পুলিশ কর্মী শুভেন্দু গুঁইকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে লাঠি, রড, ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, গ্রেফতার ১৭ জন
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে দামোদর নদে হঠাৎ জলস্তর বাড়তে শুরু করে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ দেখান এলাকার কয়েকজন মদ্যপ যুবক। শুরু হয় তর্কাতর্কি, পরে তা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, মত্ত যুবকদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। এক পর্যায়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর চড়াও হয় এক যুবক এবং তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ দৃশ্য দেখে এগিয়ে আসেন পুলিশ কর্মী শুভেন্দু গুঁই। অভিযোগ, তাঁকেও ঘিরে ধরে হামলা চালায় ওই যুবকরা। ব্যাপক মারধরে গুরুতর আহত হন শুভেন্দু।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামালপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি ও ধরপাকড়। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই অভিযুক্ত, সমর বাউরি এবং মঙ্গল বাউরি। তবে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ বাউরি এখনও পলাতক। তাঁর সন্ধানে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, বিসর্জনের সময় প্রতিবারই কিছু মদ্যপ যুবক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
উল্লেখ্য, একই রাতে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগরেও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সেখানে মদ্যপ যুবকদের হাতে আক্রান্ত হন একাধিক পুলিশ কর্মী। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় দেখা যায়, একদল যুবক কিল-ঘুষি চালাচ্ছে পুলিশের ওপর। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।