যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু। খুনের অভিযোগ উঠলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে দাবি করা হয়। এই আবহে থানার আইসি সহ পাঁচ পুলিশকর্মী আক্রান্ত হলেন জনতার হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে শাসনে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শাসনে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। দাবি করা হয়, এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সেই মৃত যুবকের। তবে সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জেরেই পিটিয়ে খুন করা হয় সেই যুবককে। আর পরে সেই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজাতে নাকি দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঝুলন্ত অবস্থাতেই সেই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। নিহত যুবকের নাম আলামিন সাহাজি। শাসন থানার অন্তর্গত মহিষগদি সাহাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: বহু প্রতিক্ষার পর শেষ পর্যন্ত বাড়ল মহার্ঘ ভাতা, কবে থেকে কার্যকর হবে নয়া ডিএ-র)
আরও পড়ুন: TMCP সভাপতি তৃণাঙ্কুরকে তীব্র আক্রমণ কল্যাণের, 'মজা' পাচ্ছেন সুকান্ত
এই আবহে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে যায় নিহত যুবকের পরিবার। তবে থানার থেকে নাকি সেই পরিবারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, ছেলেটি আত্মহত্যাই করেছেন। তখন মৃতদেহ আটকে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। এরপরই থানা থেকে পুলিশকর্মীরা যান পরিস্থিতি সামাল দিতে। তখন তাঁদের ওপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে শাসনের খড়িবাড়ি বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিক্ষোভকারী স্থানীয়দের অভিযোগ, নিহত যুবকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তারা নিষ্ক্রিয় থেকেছে। আরও অভিযোগ করা হয়, হাসপাতালে নিহত যুবকের দেহ নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পৌঁছেছিলেন তাঁর প্রেমিকা। তবে পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এই আবহে সেই মহিলার সঙ্গে মিলে পুলিশই যুবকের আত্মহত্যার তত্ত্ব সাজিয়েছে। (আরও পড়ুন: SSKM-এর জুনিয়র চিকিৎসক কীভাবে অসুস্থ? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য)
আরও পড়ুন: ভিতরে আওয়াজ শুনে ঢুকেছিলেন... এন্টালিতে পরিত্যক্ত বিল্ডিং ভেঙে মৃত ২ ভাই
নিহত আলামিনের পরিবার জানায়, এক মহিলার সঙ্গে বিগত প্রায় কয়েক বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। সেই সম্পর্কের জেরেই নাকি খুন করা হয় আলামিনকে। এদিকে পুলিশ খুনের অভিযোগ না নেওয়ায় রাস্তা অবরোধ করেন মৃতের আত্মীয়রা। খবর পেয়ে শাসন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের হাতে আক্রান্ত হন থানার আইসি সহ পাঁচ পুলিশকর্মী। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে কয়েক জনকে আটক করে রাতেই নিয়ে যাওয়া হয় শাসন থানায়।