অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকেই। আক্রান্ত হলেন সোনারপুর থানার সাব-ইনস্পেকটর সোমনাথ দাস। এছাড়াও কয়েকজন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারও জখম হন। অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোনারপুরের বেনেবউ এলাকায় হান্নান হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। আদালত থেকেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। হান্নানের বিষয় খোঁজ খবর নিতে গেলে হান্নানের আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বেঁধে যায়। প্রথমে কখা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে গিয়ে পৌঁছোয়। তখনই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ইটের আঘাতে ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হন সাব-ইনস্পেকটর সোমনাথ দাস। তাঁর সঙ্গে থাকা ২ জন পুলিশ কর্মী ও ২ জন সিভিক ভলান্টিয়াররাও আহত হয়েছেন। অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশ কর্মী নিগ্রহের শিকার হওয়ায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, ‘রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আদালতের আদেশনামা নিয়ে অভিযুক্ত ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। উল্টে তাঁদেরকেই মারধর খেতে হয়েছে। যাঁরা মারধর করেছেন, তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’ এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘বিজেপির এটাই কাজ। সবকিছুতেই তৃণমূলকে জড়াবে। অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। এতে তৃণমূলের সঙ্গে যোগ কোথায়? এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’