ফের পুলিশকে সামনে রেখে বিজেপি রাজ্ সভাপতি দিলীপ ঘোষের পথ আটকানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবারের পর রবিবারও গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না দিলীপবাবু। এদিন নিদের সংসদীয় কেন্দ্র মেদিনীপুরে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। পথে পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীকৃষ্ণপুরে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। এর পর সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার মেদিনীপুর যাচ্ছিলেন দিলীপবাবু। তিনি জানিয়েছেন, আবরোধ চলছে বলে প্রথমে তাঁর গাড়ি জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়কে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। এর পর নন্দকুমারের কাছে শ্রীকৃষ্ণপুরে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। দিলীপবাবুর গাড়ি আটকাতে আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। ছিল RAF ও রোবোকপ।
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, সামনে জল ও বিদ্যুতের দাবিতে অবরোধ চলছে। তাই সাংসদ সেখানে গেলে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি হতে পারে। রাজ্য সভাপতির গাড়ি আটকানো হয়েছে এই খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কেউ বিক্ষোভ দেখাতে মাটিতে বসে পড়েন।
এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পালটা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। যদিও তাদের দাবি, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে সেখানে এসেছেন তাঁরা।
বেশ কিছুক্ষণ এই রকম পরিস্থিতি চলার পর গাড়ি ঘোরান দিলীপবাবু। তিনি বলেন, যে পুলিশকে আমাকে আটকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তা উদ্ধারকাজে নামালে মানুষের উপকার হত। তাঁর দাবি, দলীয় কর্মীদের দিয়ে পথ অবরোধ করিয়ে পুলিশ দিয়ে আমাকে আটকাচ্ছে তৃণমূল।
শনিবারও একই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢালাই ব্রিজে। সেখানে দিলীপবাবুর পথ আটকায় পুলিশ। বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ ও পালটা বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মারামারিতে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটে বলে অভিযোগ।