রবিবার ১০৮ টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই বিভিন্ন পুরসভায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে। যার মধ্যে বহু ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে বিজেপি। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি পুরসভার ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদে আজ মহকুমা শাসকের অফিস ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বাম কর্মীসমর্থকরা। এই ঘটনায় বাম কর্মী সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একাধিক বাম নেতা ও কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
সিপিএমের অভিযোগ, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে এদিন শান্তিপূর্ণভাবেই তারা মহকুমা শাসকের কাছে স্মারলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের বাধা সরিয়ে আন্দোলকারীরা ভিতরে প্রবেশ করতে গেলেই তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর আন্দোলনকারীদের হাটাতে পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী লাঠিচার্জ করে।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য সহ একাধিক নেতা কর্মী। চারজন আহত বাম নেতাকে কর্মীদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবাদে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন সিপিএমের নেতা কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী দুর্গা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ডেপুটেশন জমা দিতে এসেছিলাম। তারপরেও পুলিশ আমাদের লাঠি চার্জ করল।’ তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন মহিলা। তারপরেও কিভাবে তিনি মহিলাদের ওপর পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ করার অনুমতি দিলেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুরুষ পুলিশ রীতিমতো আন্দোলনরত মহিলাদের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে। পুরুষ পুলিশের ধাক্কায় জখম একাধিক মহিলারা। জেলা আহ্বায়কের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে।