বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘‌কটা বাজে?’‌, কৃষ্ণনগরে দশমীর রাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেল পুলিশ

‌দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় কৃষ্ণনগরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে রেহাই পাননি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে আসা দর্শনার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং বয়স্করাও। স্বভাবতই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

দশমীতে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। মহিলা, শিশু, বয়স্করা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে আসেন। তখনই প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে দুটি পাড়ার মধ্যে ঝামেলা বাঁধে বলে খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের লাঠি উঁচিয়ে সরিয়ে দেয়। রাস্তার পাশে যে সব দোকান খোলা ছিল, সেই সব দোকানে ঢুকে সেখানে থাকা লোকজনদেরও হঠিয়ে দেয়। এক পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘‌কটা বাজে?‌’‌ বলেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান তিনি। মহিলা, শিশু, বয়স্ক, কাউকেই রেয়াত করা হয়নি।

গতকাল রাতে পুলিশের এই ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। নদিয়া জেলা উত্তর বিজেপির মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার জানান, তৃণমূল জমানায় পুলিশের অতি সক্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে আসা সাধারণ দর্শনার্থীদের উপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করা হল, তা খুবই দুঃখজনক। যখন দুষ্কৃতীরা থানা ভাঙচুর করে, তখন সেই দুষ্কৃতীদের ধরতে পারে না। আর এখন নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর বীরত্ব দেখাচ্ছে। যে পুলিশ অফিসার এই লাঠি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ও যাঁরা লাঠি চালিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা এই ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সর্বত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। ঘটনাটি পুরোপুরি আমি জানি না। এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখব। তবে একটু বলতে পারি, তৃণমূল সরকার আইনের শাসন মেনে চলার পক্ষপাতী। তবে কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সেই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করছি।'

বন্ধ করুন