মেচেদায় ট্রেনের কামরায় বন্ধ ট্রলি ব্যাগে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্যভেদ করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাসান আলি নামে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে রামনগরে। সেখান থেকে দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে এনে তোলা হয় মেচেদা স্টেশনে ট্রেনের কামরায়। ঘটনায় উঠে আসছে এক তরুণীর নামও। মূল অভিযুক্ত রাজুর বান্ধবী তিনি। উদ্ধার হয়েছে হাসান আলির কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ৬ লক্ষ টাকা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কারশেডে মেচেদা লোকালের কামরা থেকে উদ্ধার হয় একটি ট্রলি ব্যাগ। ব্যাগের ভিতরে মেলে এক প্রৌঢ়ের দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নিহতের নাম হাসান আলি। তিনি কলকাতার বউবাজারের বাসিন্দা। দিঘায় একটি হোটেল লিজ নেওয়ার ব্যাপারে কয়েকজন দালালের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এর পরই প্ল্যাটফর্মে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রাজু নামে এক দালালকে ধরে পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও ২ জনকে।
খড়গপুর জিআরপির পুলিশ সুপার অবধেশ পাঠক জানিয়েছেন, ’২৪ ফেব্রুয়ারি টাকা নিয়ে বাসে করে মেচেদা থেকে দিঘা যাচ্ছিলেন হাসান আলি। পথে রামনগরে রাজু তাঁকে ফোন করে বাস থেকে নামায়। এর পর তাঁকে নিয়ে যায় বান্ধবীর ভাড়াবাড়িতে। সেখানে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হাসানকে খুন করে রাজু। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়।’ অবধেশবাবু জানিয়েছে, গোটা ঘটনা অভিনয় করে দেখিয়েছে মূল অভিযুক্ত। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত সামগ্রী। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া ৬ লক্ষ টাকাও।
ওদিকে রাজুর যে বান্ধবীর বাড়িতে খুন হয়েছিল তাকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। যদিও সেদিন সে বাড়িতে ছিল না বলে পুলিশকে জানিয়েছে রাজু।