সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার দায়ে ধৃত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। রবিবার ধৃত রাখাল বেরাকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে, ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছে আদালত।
এদিন শুনানির শুরুতেই ধৃত রাখাল বেরার ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। আদালতকে আইনজীবী বলেন, ‘এই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় একাধিক ব্যক্তির জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সেজন্য ধৃতকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। সেজন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত প্রয়োজন।’
সরকারি আইনজীবী পুলিশ হেফাজত চাওয়ায়, পালটা বিরোধিতা করেন রাখালের তরফের আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। সেকারণে তাকে জামিন দেওয়ার হোক। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, রাখালকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
আইনজীবী সওয়াল করেন, দু’বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য এতদিন পর কেন গ্রেফতার করা হল? তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, যিনি চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন, তিনি কীভাবে, কার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, রাখালবাবু সরকারি চাকরি পাইয়ে দিতে পারেন? এর পরই উভয়পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখে, ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।