পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করল পুলিশ। ভোটের ঠিক আগের দিন খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ মইবুল (৪২)। তিনি মহিষাদলের বেতকুন্ডুর বাসিন্দা। সেই খুনের ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। উল্লেখ্য, বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখল করে। খুন হওয়া তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। ইতিমধ্যে পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারপরেই পুলিশ তদন্ত নেমে পাঁচজনকে আটক করেছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই অশান্ত তমলুক লোকসভা আসন, খুন হলেন মহিষাদলের তৃণমূল নেতা
গতকাল বিকেলে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল নেতার। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মইবুলকে উদ্ধার করে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তমলুক হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভোটের ঠিক আগের দিন এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ করছে মহিষাদল থানার পুলিশ। মহিষাদল থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের স্বার্থে পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
তৃণমূল এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগ তুলেছে। তবে বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি কোনওদিন সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়নি। বিজেপির যতগুলি রাজ্য রয়েছে, সেখানে ভোটের দিন কোনও ঝামেলা হয় না। তবে এ রাজ্যে তৃণমূল রয়েছে। তাদের আমলে দুর্নীতির পাশাপাশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে। এর ফলে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এই ধরনের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক।
অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের উপর দোষ চাপাতে চাইছে। যেটা শুভেন্দু অধিকারী সব সময় করে। তবে তাতে লাভ হবে না। এলাকার সব মানুষ জানে। অন্যদিকে, মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারও দাবি করেছে এটা বিজেপির কাজ। এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিজেপি তাকে সরিয়ে দিতে চাইছিল। সেটাই করেছে।