বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > আনিস খুনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, ছাত্রকে আটক, থানায় বিক্ষোভ এসএফআইয়ের

আনিস খুনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, ছাত্রকে আটক, থানায় বিক্ষোভ এসএফআইয়ের

পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অভিজিৎ ঘোষ। নিজস্ব ছবি।

হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান খুনের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে এসএফআই কর্মীকে আটক করল সোনারপুর থানার পুলিশ। ওই এসএফআই কর্মী নাম অভিজিৎ ঘোষ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোনারপুর থানায় বিক্ষোভ করেন এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা। যারফলে তাকে বেশিক্ষণ থানায় আটকে রাখতে পারেনি পুলিশ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিজিৎ ঘোষকে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ।

অভিজিৎ সোনারপুর বোসপুকুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা ও তাঁর স্বামীর ছবি ক্লোলাজ করে সোস্যাল মিডিয়ায় তিনি একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ছাত্র নেতা আনিস খান খুনে অভিযুক্ত হাওড়া পুলিশের গ্রামীণ জেলা এসপি কিন্তু সোনারপুরের তৃণমূল এমএলএ লাভলী মৈত্রের স্বামী।’ তার অভিযোগ, এই পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই সোনারপুর থানার কিছু পুলিশ তার বাড়ি যাই। তার দাবি তাদের কাছে কোনওরকমের ওয়ারেন্ট ছিল না। পুলিশের উর্দিও ছিল না। ফলে তিনি তাদের সঙ্গে থানায় যেতে অস্বীকার করেন। এর পরেই অভিজিৎ ঘোষ এবং তার মাকে ধাক্কাধাক্কি করে পুলিশ। তাকে জোর করে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

ঘটনার খবর পেয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা সোনারপুর থানার সামনে সোমবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে। তাদের বক্তব্য, ‘ছাত্র আন্দোলনকে কোনওভাবে দমানো যাবে না।’ পাশাপাশি আনিস খানের খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারিরা। বেশ কিচ্ছুক্ষণ আটকে রাখার পর অবশেষে অভিজিৎ ঘোষকে ছেড়ে দেয় সোনারপুর থানার পুলিশ। বাইরে বেরিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিজিৎ। তাঁকে ও তাঁর মাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা সিপিআইএম জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী। তিনি বলেন, ‘ভোট যত এগিয়ে আসছে তত সন্ত্রাস বাড়ছে। তৃণমূল জানে মানুষ ভোট দিলে তারা জিতবে না। কোন আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই পুলিশ অফিসারকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে বলতে হবে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের সাইনবোর্ডে রূপান্তরিত হয়েছে।’

বন্ধ করুন