বীরভূমের পর পূর্ব বর্ধমান। পঞ্চাশোর্ধ এক মহিলাকে কুপিয়ে গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল। মন্তেশ্বর থানার মামুদপুরের হাজরাপাড়ায় ওই মহিলার গলা কাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃত মহিলার নাম শান্তি হাজরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা হাজরা পাড়ার বাসিন্দা। তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে। মামুদপুরের বারাপুর এলাকায় একটি বাড়িতে তিনি পরিচারিকা কাজ করতেন। সেখান থেকে ফেরার সময় তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকার একটি নির্জন জায়গা থেকে ওই মহিলার প্রচণ্ড চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরেই তাঁরা সেখানে ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই মহিলার দেহ। সেইসঙ্গে তারা অন্য একটি মহিলাকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখেন। স্থানীয়রা পিছু ধাওয়া করে ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁরাই পুলিশে খবর দেন এবং ওই মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এবিষয়ে কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য বলেন, ‘শান্তি হাজরা নামে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে মহিলাকে আটক করা হয়েছে তিনি মন্তেশ্বর থানা এলাকারই বাসিন্দা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ সন্দেহভাজন ওই মহিলাকে আটক করা হলেও স্থানীয়রা কেউই তাঁকে খুন করতে দেখেননি। ফলে ওই মহিলাই শান্তি হাজরাকে খুন করেছে কিনা বা খুন করে থাকলে তার পিছনে কী কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।