রবিবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই খুনের পিছনে পারিবারিক শত্রুতা রয়েছে নাকি রাজনৈতিক কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছিল, তা এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যদিও এর পরেই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় তাঁর দাদা এবং ভাইপোকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে কংগ্রেস। তবে যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, তাই শুধুমাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ছাড় দেওয়া হবে বলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তপন কান্দু এবার কংগ্রেসের টিকিটে দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ভাইপো দীপক কান্দু। কিন্তু তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুও ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। এখন ছেলে জিততে না পারার কারণেই কি ভাইকে খুন? নাকি এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে পুরুলিয়া ঝালদা পুরসভায় ত্রিশঙ্কু বোর্ড গঠন করা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই কংগ্রেস কাউন্সিলের খুন হওয়ার ফলে অনেকেই এতে রাজনৈতিক কারণকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, গতকাল বৈঠক সেরে সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তপন কান্দু। সেই সময় দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগার ফলে তাকে রাঁচি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়।