আসানসোলের বারাবনি। সামনে যাচ্ছে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি। তার পেছনে সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি। এদিকে আচমকাই রাস্তায় আটকে দেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমের গাড়িগুলিকে। অভিযোগ এমনটাই। সামনে একটি পুলিশের গাড়ি দাঁড় করিয়ে মিডিয়ার গাড়িগুলিকে পরপর দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিচয়পত্র নিয়েই ভোট কভার করতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কেন সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি আটকে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এদিকে অগ্নিমিত্রা পাল গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, আপনারা এভাবে সংবাদ মাধ্যমের অধিকার খর্ব করতে পারেন না। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পালের রীতিমতো তর্ক বেঁধে যায়।
এদিকে এক পুলিশ আধিকারিক দাবি করেন, আমাদের কাছে অর্ডার আছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে বলেও পুলিশের তরফে জানানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশ তাঁরা দেখাতে পারেননি। অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন, এভাবে মিডিয়াকে আটকানো যায় না। আসলে গোটা দেশ তৃণমূলের অত্যাচার দেখুক এটা চাইছে না পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এটা হচ্ছে। বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুলিশ কিছু লুকোতে চাইছে। সেকারণে সংবাদ মাধ্যমকে আটকানো হচ্ছে।
তবে ৪০ মিনিট পরে অবশ্য পদস্থ পুলিশ কর্তারা এসে জানিয়ে দেন, মিডিয়ারা যেতে পারবেন। কমিশন জানিয়েছে, সাংবাদিকদের আটকানো যাবে না। কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা হয়েছে।