মালদার কালিয়াচকে তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় এক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার দিনভর তল্লাশির পর শেখ হামজা নামে এক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। তবে এই ঘটনায় পুলিশের দাবি ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার কালিয়াচকে গুলি চলেনি। যদিও ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। গুলি চলার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের আহত অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখও।
বুধবারও কালিয়াচকের নওয়াদা - যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। বেলা বাড়লে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ কুকুর। ড্রোন উড়িয়ে খোঁজ করা হয় অভিযুক্তদের। এরই মধ্যে পুলিশের তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার কালিয়াচকে গুলি চলেনি। একই মধ্যে গ্রামের একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। অবশেষে শেখ হামজা নামে এক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তবে মূল অভিযুক্ত জাকির বা অনুগামীদের এখনও টিকির পাত্তা পায়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকের নওয়াদা - যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াবস্তি এলাকায় নর্দমার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ ও তাঁর অনুগামী। ওই পঞ্চায়েতটি কংগ্রেস ও ISF জোটের দখলে।
অভিযোগ, উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ হতেই বকুল শেখ ও তাঁর অনুগামীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের দুষ্কৃতী জাকির ও তাঁর দলবল। প্রকাশ্য রাস্তায় কোপানোর পর ইঁট দিয়ে থেঁতলে খুন করার চেষ্টা হয় বকুল শেখ, তাঁর ভাই এহেসানউদ্দিনসহ অনুগামীদের। তখনই মৃত্যু হয় হাসা শেখের।
ওদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারাই। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে তারা দাবি করেছেন, আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে বকুল শেখকে খুনের হুমকি দিয়েছিল জাকির। তখন কেন জাকিরকে গ্রেফতার করল না পুলিশ?