পুকুরের মধ্যে ভাসছে কোনও একটি বস্তু, যা দেখতে অনেকটা মানুষের মতোই। কাছে যেতেই দেখা গেল সত্যি সত্যি কোনও মানুষের দেহ। তবে সেটি অর্ধেক দেহ, বাকি অংশ নেই। বৃহস্পতিবার রাতে এক ব্যক্তির এমনই দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের মল্লিকপুর রোডের ডিহি মদনমল্যরে। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে তিনি একজন প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী ছিলেন। মৃত প্রাক্তন নৌসেনাকর্মীর নাম উজ্জল চক্রবর্তী (৫৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী।যে অবস্থায় ওই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ পাওয়া গিয়েছে তাতে পুলিশ নিশ্চিত যে এটি খুনের ঘটনা। তাঁর দুটি হাত কাটা রয়েছে। পাশাপাশি বুকের নিচের অংশটাও পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তাঁর মুখ প্লাস্টিক দিয়ে বাঁধা ছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীদের বাড়ি বারুইপুর এলাকাতেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে তারাই দেহটিকে পুকুরে ভাসতে দেখেন। এরপর কাছে যেতেই দেখেন যে এটি কোনও পুরুষের দেহ। দেরি না করে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মানুষদের ভিড় জমে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি আতঙ্কিত স্থানীয়রা। তিয়াসা মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ‘এই এলাকায় কোনদিনও এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম এরকম কোনও ঘটনা ঘটল আমাদের এলাকায়। ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।’
এদিকে দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশ প্রাক্তন নৌসেনাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে তাঁরা থানায় গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় খুনের মামলার রুজু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত? কী কারণে খুন করা হয়েছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।