পরকীয়ার জেরে শ্যামনগরের শান্তিগড়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন স্বামী। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি মৃত বধূ প্রিয়াঙ্কা পুরকাইতের (৩৩) পরিবারের। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে বারাকপুর আদালতে পেশ করার সময় তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেন স্বামী আবির পুরকাইত।
বুধবার বিকেলে শ্যামনগরের শান্তিগড়ে বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় প্রিয়াঙ্কা পুরকাইত ওরফে পিউর দেহ। ২০১৬ সালে শান্তিগড়ের বাসিন্দা আবিরের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অভিযোগ, তার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তির জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতেন তিনি।
মৃত বধূর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আবিরবাবু ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্ট্রির কর্মী। সেখানে এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। পথের কাঁটা সরাতেই স্ত্রীকে খুন করেন আবির।
বুধবার বিকেলে অফিস থেকে বাড়ি ফিরে বাড়িতে লুঠপাট হয়েছে বলে প্রতিবেশীদের জানান আবিরবাবু। সঙ্গে জানান স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। এর পর প্রিয়াঙ্কাকে খুঁজতে শুরু করেন প্রতিবেশীরা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক খুলে নিজেই প্রথম স্ত্রীর দেহ দেখতে পান অভিযুক্ত। খবর যায় পুলিশে। জগদ্দল থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে আবির পুরকাইত ও তাঁর মাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বুধবার দুপুরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেন আবির। তার পর দেহ লুকিয়ে রাখেন জলের ট্যাঙ্কে। এর পর লুঠপাটের নাটক সাজান তিনি।