ভবানীপুর থানা এলাকার লি রোডে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্য খুনে ট্যাক্সি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেল পুলিশ। বুধবার বেশ কিছুক্ষণ ধরে ট্যাক্সি চালক রবীন্দ্র প্যাটেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে জড়িত দুষ্কৃতীদের একজন প্রথমে ওই ট্যাক্সিতে করে হাওড়া থেকে এক্সাইড মোড়ে যায় এবং পরে সেখান থেকে ভিক্টোরিয়া হয়ে পুনরায় হাওড়া স্টেশনে ফিরে যায়। তার ব্যাগে ২৫ লক্ষ টাকা থাকলেও ট্যাক্সিচালককে বাড়তি টাকা দিতে রাজি হয়নি দুষ্কৃতী।
লালবাজার সূত্রের খবর, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। ট্যাক্সি চালকের বয়ান অনুযায়ী, সে রাত্রি ১০.৪০ টার ট্রেন ধরে পালায়। ট্যাক্সি চালকের দাবি, ওই দুষ্কৃতী হাওড়া ব্রিজ থেকে তার ট্যাক্সিতে চড়েছিল। সেই সময় রাত্রি ৯.৫০টা হয়েছিল। অভিযুক্ত যুবক ট্যাক্সি চালককে জানিয়েছিল, সে বাড়িতে একটি ব্যাগ ফেলে এসেছে। এক্সাইড মোড়ে তার দাদার কাছ থেকে সেই ব্যাগ তিনি নিয়ে পুনরায় হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবেন।
ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কায় ট্যাক্সিচালককে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে বলে যুবক। কিন্তু, এক্সাইড মোড়ে যাওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার কাছে যেতে বলা হয় ওই ট্যাক্সিচালককে। সেখানে একজন ট্যাক্সিতে না উঠে একটি ব্যাগ ট্যাক্সির ভিতরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ওই ব্যাগে মুক্তিপণের টাকা ছিল বলে ধারণা ছিল ট্যাক্সি চালকের। অন্যদিকে, ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে আড়াইশো টাকার বিনিময় হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্যাক্সি চালক ৫০০ টাকা দাবি করেন। প্রথমে যুবক সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলেও পরে অবশ্য ৫০০ টাকা দিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় লি রোডে ছেলের সঙ্গে ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। দোকানে পান কিনতে যাওয়ার সময় ৪-৫ জন তাকে তুলে নিয়ে যান। এরপর তার পরিবারে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। পরিবারের লোকেরা সেই মুক্তিপণ দিয়ে দিলেও মঙ্গলবার সকালে এলগিন রোডের হোটেলে উদ্ধার হয় দেহ।