বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Prize During Republic Day Ceremony: জীবনপণ করে রুখে ছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনা, সেই ৯ যুবককে সম্মান দিল পুলিশ

Prize During Republic Day Ceremony: জীবনপণ করে রুখে ছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনা, সেই ৯ যুবককে সম্মান দিল পুলিশ

তাঁদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুন দে।(টুইটার)

ললাইন ধরে তারা যখন হাঁটছিলেন, দেখেন যে লাইনের একটি অংশ ভেঙে গিয়েছে। সে সময় ওখান দিয়ে ৪টে ৫০ মিনিটের আপ শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার লোকাল যাওয়ার কথা। ট্রেন চলে এলেই ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ, তা বুঝেই এক যুবকের পরনে থাকা লাল জ্যাকেট খুলে নাড়াতে থাকে।

ডায়মন্ড হারবার ও গুরুদাসনগর রেললাইনের মাঝে একদল যুবক জ্যাকেট উড়িয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা আটকে ছিলেন। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সেই যুবকদের হাতে পুরস্কার তুলে দিল ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা পুলিশ।

গত ৯ জানুয়ারি নয় যুবক আবির হালদার, মানোয়ার হালদার, ফিরোজ মোল্লা, নুর মহম্মদ মোল্লা, আব্দুল লস্কর, হানিফ মোল্লা, সাইদুল মোল্লা, ইনসান মোল্লা, সিরাজুল মোল্লা সংগ্রামপুর থেকে ফুটবল খেলে ফিরছিলেন। রেললাইন ধরে তারা যখন হাঁটছিলেন, দেখেন যে লাইনের একটি অংশ ভেঙে গিয়েছে। সে সময় ওখান দিয়ে ৪টে ৫০ মিনিটের আপ শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার লোকাল যাওয়ার কথা। ট্রেন চলে এলেই ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ, তা বুঝেই এক যুবকের পরনে থাকা লাল জ্যাকেট খুলে নাড়াতে থাকে। একই সঙ্গে অন্য এক যুবক তৎক্ষণাৎ স্টেশনে দিকে ছুটতে শুরু করে লাইন ভাঙার খবর দেওয়ার জন্য।

তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত স্টেশন মাস্টার-সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। নয় যুবকের তৎপরতায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। এই ফাটলের কারণে ওই লাইনে সাময়িক ভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। পরে সন্ধ্যা নাগাদ আবার ট্রেন চলতে শুরু করে।

এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই যুবকদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ জানুয়ারি এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মতো বৃহস্পতিবার নয় যুবকের হাতে এই বড়সড় দুর্ঘটনা রুখে দেওয়া জন্য পুরস্কার তুলে দিল পুলিশ। তাঁদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুন দে।

এই সম্মান পেয়ে খুশি যুবকরা। তবে তাঁদের বক্তব্য, 'আমার তো কিছু পাওয়ার জন্য এই কাজ করিনি। বিপদ বুঝে তা আটকানোর জন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলাম।'

বন্ধ করুন