দত্তপুকুরে উদ্ধার করা হয়েছিল মুণ্ডহীন দেহ। তবে সেই দেহটি কার সেটা নিয়ে এখনও নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাটা ধড় থেকে আলাদা করা হয়েছিল। এদিকে সেই যে দেহটি মিলেছে সেটার হাতে উল্কি দিয়ে লেখা আছে দুটি অক্ষর। আর সেই অক্ষর দেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে পুলিশ।
হাতে লেখা রয়েছে দুটি অক্ষর। একটি হল B আর অপরটি হল R। অন্য়দিকে সেই বাঁ হাতে লেখা ছিল হৃদয়ের চিহ্ন। হাতের এই উল্কিই এখন তদন্তের অন্য়তম ভরসা। কারণ মুণ্ডহীন দেহটি কার এটা না জানতে পারলে পুলিশের তদন্ত এগিয়ে যেতে পারবে না।
এদিকে মদ্যপ অবস্থায় বচসার জেরে এই খুন কি না সেটা দেখা হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রসঙ্গত গত সোমবার দত্তপুকুর থানার বাজিতপুরে কৃষি জমির পাশের মাঠে গলা কাটা এই দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এদিকে কাটা মুণ্ডটি কোথায় গেল তার খোঁজ করতে পুলিশ খালে ডুবুরিও নামিয়েছিল। কিন্তু সন্ধান মেলেনি। তবে হাতে লেখা উল্কি এখন পুলিশের তদন্তের অন্যতম সূত্র। এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অস্বাভাবিক কিছু দেখা গিয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ওই এলাকায় যদি পরিচিত কোনও গ্রুপের মধ্য়ে ঝামেলার জেরে এই খুনের ঘটনা হয়ে থাকে তবে সেটা অনেকেই জানবেন। কিন্তু তেমন কিছুর খবর মেলেনি। তবে শেষ পর্যন্ত গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এবার প্রশ্ন বি বা আর অক্ষর কি তার নিজের নামে অক্ষর? নাকি প্রিয় কারোর নামের অক্ষর সে ওই হাতে লিখেছিল? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেহ উদ্ধারের সময় জানা গিয়েছিল ওই যুবকের বয়স ছিল আনুমানিক ৪০ বছর। তার নিম্নাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আলি বলেছিলেন, সকালে সবজি তুলতে এসেছিল মাঠে। একজন মহিলা প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন একটি দেহ পড়ে রয়েছে। পুরো নগ্ন দেহ ছিল। মাথাটা ছিল না। কার দেহ আমরা বুঝতে পারিনি। মাথা নেই বলে চেনা যাচ্ছিল না। এলাকার কেউ বলে মনে হচ্ছে না। অপর এক বাসিন্দা বলেন, সবজি তোলার সময় দেখা যায় ওই দেহটি পড়েছিল।