আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা ছাত্রনেতা আনিস খান খুনে পুলিশের পোশাকে যারা বাড়িতে গিয়েছিল তারা আদৌ কি পুলিশ? নাকি দুষ্কৃতী? তা নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এখন পুলিশ এই কথা অস্বীকার করলেও জানা যাচ্ছে, আনিসের বিরুদ্ধে বাগনান থানায় একটি এবং আমতা থানায় দুটি অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে বাগনান থানার মামলায় আনিসের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও ইস্যু হয়েছে। সেখানেই মাথাচাড়া দিচ্ছে প্রশ্ন। তাছাড়া ঘটনার পর থেকে আনিসের মোবাইল ফোনও উধাও রয়েছে।
আনিসের বন্ধুরা এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাদের দাবি গত কয়েক মাস ধরেই তাকে খুন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সেই কারণে তিনি ঘরছাড়া ছিলেন। এখন কি কারণে তাকে খুন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল? কারায় বা হুমকি দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার বন্ধুদের অবশ্য দাবি, সম্প্রতি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে সরব হয়েছিলেন আনিস। তারপর থেকেই তাঁকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাহলে পুলিশের পোশাকে কি ওই দুষ্কৃতীরাই তাকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে? সেই প্রশ্নই এখন উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে আনিসের সঙ্গে কার কার ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে আশেপাশের এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমতার সারদা খাঁ পাড়ার বাসিন্দা আনিস প্রথমে তিনি এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।পরবর্তী সময়ে তিনি আইএসএফে যোগ দেন। আনিসের বাবার অভিযোগ, শুক্রবার রাত একটা নাগাদ চারজন পুলিশের উর্দি পরে বাড়িতে আসে। একজন তাকে আটকে রাখে এবং বাকি তিনজন ছাদের উপরে চলে যায়। তারপর আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে দেয় তারা।