পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হল পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন শাখা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের ইভিনিং লজে। রীতিমতো গ্রাহক সেজে ওই পুলিশ কর্তাকে গ্রেফতার করেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুক্রবার অভিযুক্ত পুলিশকর্তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম দুর্গাদাস মুখোপাধ্যায়। তিনি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এসবি ব্রাঞ্চে সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত রয়েছেন। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামের টাকা তোলার অভিযোগ করছিলেন অনেক গ্রাহকরা।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক ব্যক্তি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য দুর্গাদাসের কাছে যান। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকেও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য ২,০০০ টাকা দাবি করেন ওই পুলিশকর্তা। কিন্তু ওই গ্রাহক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। ওই আবেদনকারীর মাধ্যমে খবরটি পৌঁছে যায় রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার কাছে।
বুধবার দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা অভিযানে নামেন। পুলিশ আধিকারিকের একটি দল পৌঁছে আসানসোলের ইভিনিং লজে। সেখানে দুর্নীতি দমন শাখার দু'জন অফিসার গ্রাহক সেজে দুর্গাদাসের সঙ্গে দেখা করেন। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র অভিযুক্ত পুলিশ কর্তার হাতে তুলে দেন গ্রাহক সেজে আসা দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। এরপরই অভিযোগ ওঠে, দুর্গাদাসবাবু তাঁদের কাছ থেকেও ২,০০০ টাকা চেয়ে বসেন। সেই মতো পকেট থেকে ওই অঙ্কের টাকা বের করে দুর্গাদাসের হাতে তুলে দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্তা এক হাতে টাকাটি নিতেই তাঁর অন্য হাত খপ করে ধরে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় নিয়ে যান দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,অভিযুক্ত দুর্গাদাসকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করা হয়। কবে থেকে তিনি এই কাজ করছেন। কত জনের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছেন। সে সমস্ত তথ্য তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়।অবশ্য পুলিশ আধিকারিকরা এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।