কয়েক বছর আগে অট্টালিকার মতো একটি বাড়ি বানিয়েছিলেন বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের বাতিকার অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বদরুল রহমান। অভিযোগ ওঠে পুকুর বুজিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেই বাড়িটি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে একটি মামলা হয়েছিল আদালতে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রায় দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, সংশ্লিষ্ট বাড়িটি ভাঙতে হবে। সেই রায় কার্যকর করতেই বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিতিতে ওই বাড়িটি শনিবার বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। যদিও তৃণমূল নেতার পরিবারের দাবি, তাঁরা জানতেন না যে এই জমিটি পুকুর বুজিয়ে বিক্রি করা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি বাড়িটি ভাঙার সময় কোনও বাধা তৈরি করা হয়নি।
জানা গিয়েছে বদরুল রহমানের এই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় পুরো জায়গা জুড়ে ছিল মার্বেল এবং টাইলসের কাজ। সেই বাড়িটি একদম গুঁড়িয়ে দিল বুলডোজার। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বদরুল রহমানের ভাই মঈনউদ্দিন শেখ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যখন এই জায়গাটি কেনা হয়েছিল তখন আমরা জানতাম যে এই জায়গাটি পুকুরের পাড়। কিন্তু পরে এই জমি নিয়ে মামলা রুজু হয়। মামলা হওয়ার পরে আমরা জানতে পারি যে এই জমিটি পুকুরের নামে রেকর্ড করা রয়েছে সরকারি খাতায়। তাই আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে সেই নির্দেশ আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। বাড়িটি এখন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, আমরা কোনওরকম বাধা দিই নেই সেই ক্ষেত্রে।
তবে মামলা রুজু করার নেপথ্যে তিনি রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজে পাচ্ছেন। মঈনউদ্দিন দাবি করেন, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে এইভাবে মামলা রুজু করা হয়েছে এই জমিটা নিয়ে। আমার দাদা যেহেতু এলাকার তৃণমূল নেতা তাই ওই মামলাকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশের থেকে এই মামলা করেছিলেন।