মালদায় তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনে খোদ পুলিশ সুপারের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনায় এখনও ২ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারই মধ্যে মালদার আরও ১ তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন মঙ্গলবার। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দলের নওয়াদা - যদুপুর অঞ্চল সভাপতি ও আরও এক নেতা। এর পর ফের একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন তৃণমূল নেতারাই। তার মধ্যে যদুপুরে পুলিশের তদন্তের কায়দা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে তাদের পেশাদারিত্ব নিয়েই। এদিন সেখানে খাবারের দোকানের পলিথিন ব্যাগে চামচ দিয়ে নিহতের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে দেখা যায় এক পুলিশ আধিকারিককে। যা দেখে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ আবার কেমন তদন্ত?
মঙ্গলবার কালিয়াচকের যদুপুরে অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূলেরই জাকির শেখের দলবল। গুলি লাগে বকুল, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এহেসানউদ্দিন ও তাদের এক অনুগামীর দেহে। অনুগামী হাসা শেখের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বকুল ও এহেসান গুরুতর আহত অবস্থায় মালদা মেডিক্যালে ভর্তি।
ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে নিহত হাসা শেখের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে দেখা যায় এক পুলিশ আধিকারিককে। দেখা যায়, কোনও জীবাণুমুক্ত টেস্ট টিউব বা কোনও বিজ্ঞানসম্মত পাত্র নয়, স্থানীয় একটি খাবারের দোকানের পলিথিন ব্যাগে নমুনা সংগ্রহ করছেন তিনি। রাস্তা থেকে চামচে করে রক্তের নমুনা তুলছেন তিনি।
এই ঘটনায় মালদা জেলা পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, যে পলিব্যাগে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তা যে জীবাণুমুক্ত তা জানা গেল কী করে? ওই পলি ব্যাগে যে অন্য কোনও মানুষের DNA লেগে নেই তাই বা নিশ্চিত করবে কে? পুলিশের পরিকাঠামো কি এতটাই খারাপ যে খাবার দোকানের পলি ব্যাগে করে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে তাদের?