সুজাপুরকাণ্ডে মুখ পুড়ল পুলিশের। ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো ফুটেজের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে মালদার পুলিশ সুপার জানালেন, বুধবার সুজাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভাঙচুর করেছেন পুলিশকর্মীরাই। ধর্মঘটিদের অভিযোগ, এদিন পুলিশের প্ররোচনাতেই হিংসা ছড়ায়।
গাড়ি ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, কয়েকজন কন্সটেবল সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বলে রাখি, বুধবার বাম-কংগ্রেসের ভারত বনধকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মালদার সুজাপুর। এদিন সকাল থেকে সুজাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে জনতা। পালটা টিয়ার গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। শূন্য গুলিও চালাতে হয় পুলিশকর্মীদের। এরই মধ্যে জ্বলতে শুরু করে পুলিশের ২টি গাড়ি। এর পরই দেখা যায় সুজাপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কাচ ভাঙছেন পুলিশ কর্মীরা।
ঘটনা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বনধ সমর্থকদের মধ্যে। বামেদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বনধ সমর্থকদের বদনাম করতে গাড়ি ভাঙচুর করেছে পুলিশ। শাসকের নির্দেশেই পুলিশ একাজ করেছে বলে দাবি তাদের।
ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভাঙচুর করে থাকলে তদন্ত হওয়া উচিত।’