বৃহস্পতিবার সাতসকালে গাছ থেকে উদ্ধার হল যুগলের দেহ। ঘটনাটি মালদহের মালতীপুরের ধানগাড়া-বিষণপুর পঞ্চায়েতের রণঘাট এলাকার। মাঠের মধ্যে একটি গাছ থেকে ওই যুগলের দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের নাম সাইফুদ্দিন (২২) এবং কিশোরীর নাম নায়েমা খাতুন (১৫)। এদিন দুজনের ঝুলন্ত দেহকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতদেহে দেখতে সেখানে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় উস্কানির প্রমাণ থাকতে হবে, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
জানা গিয়েছে, সাইফুদ্দিনের বাড়ি ধানগাড়া-বিষণপুর পঞ্চায়েতের রণঘাট গ্রামে। অন্যদিকে, মৃত কিশোরীর নাম নায়েমা খাতুনের বাড়ি রতুয়ার পাশে ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরানপুর গ্রামের বাসিন্দা। আজ সকালে গ্রামেরই এক বাসিন্দা প্রথমে মাঠে গিয়ে একটি ধান ক্ষেতের পাশে গাছে দুজনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ভিড় করেন স্থানীয়রা। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ গাছ থেকে ঝুলন্ত দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
ওই যুগল আত্মঘাতী হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই যুগলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে দু-পক্ষের বাড়ি থেকে সেই সম্পর্ক মেনে নিতে চাইনি। সে কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে যুগল। মৃতদেহে উদ্ধারের সময় তাদের মুখ একে অপরের দিকে ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।