মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকের ব্যাগসহ আগ্নেয়াস্ত্র চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর নিরাপত্তা নিয়ে। এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তৎপরতার সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীর চুরি হওয়া এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। নিউ কোচবিহার স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ব্যাগ এবং দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ওই অফিসার বুধবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে অসম থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় কোচবিহার স্টেশনের কাছে এক্সপ্রেসের বি কামরা থেকে অফিসারের ব্যাগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়েই চুরির ঘটনা তিনি নিউ কোচবিহার জিআরপি থানায় জানান। অভিযোগ পেয়ে জিআরপি-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। পরে এসটিএফ ও জেলা পুলিশও তদন্তে যোগ দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্যাগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র দু'টি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে। বুধবার রাতেই কোচবিহার সংলগ্ন রেললাইনের ধারে ওই অফিসারের ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোচবিহার স্টেশন সংলগ্ন একটি পুকুরের পাড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দু'টি উদ্ধার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি হল দু'টি গ্লক পিস্তল ও দু'টি ম্যাগাজিন-সহ ২০টি নাইন এমএম গুলি। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম তপন বর্মণ। নির্দিষ্ট সূত্র মারফত খবর পেয়ে অসমের কোঁকড়াঝাড় থেকে তপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে একজন ব্যাগ ছিনতাইকারী বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে । এরপর তাকে জেরা করে বৃহস্পতিবারই চুরি হওয়া ব্যাগ ও অস্ত্রের হদিস মেলে। পুলিশের ধারণা ধৃত যখন ব্যাগ খুলে এই আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পায় তখন ভয়ে সে সেগুলি ফেলে দেয়। তাকে আরও জেরা করা হচ্ছে।