ডায়মন্ড হারবারের একটি বেসরকারি হোটেলে ঠাকুমা এবং নাতনির অচৈতন্য দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের ৭৬ বাস স্ট্যান্ডের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাঁদের অচৈতন্য দেহ পাওয়া যায়। তাঁদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নাতনিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃত তরুণীর নাম সোহিনি আইচ। অন্যদিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর ঠাকুমা আভা আইচ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা। সকাল সাতটা নাগাদ ধীমান আইচ মা আভা এবং মেয়ে সোহিনীকে নিয়ে ওই হোটেলে ওঠেন। সকাল ১০ টা নাগাদ ধীমান হোটেল থেকে বেরিয়ে যান এবং বেরিয়ে যাওয়ার আগে রুমে গিয়ে টিফিন পৌঁছে দেওয়ার কথা রিসেপশনে বলেন। ধীমানের ফিরতে দেরি হয়। তখন হোটেলের পক্ষ থেকে তাদের রুমে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে যেতেই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকতে দেখেন হোটেলের রুম সার্ভিস বয়। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে অচৈতন্য অবস্থায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সোহিনি আইচকে মৃত বলে জানান। ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুন কুমার দে হোটেলটি পরিদর্শন করেন। এই ঘটনায় কোনও রকম রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে না ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।