সোনারপুরে মা ও ছেলের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় এখনও ধন্দে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান মাকে খুন করার পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন ছেলে। আদৌও তাই ঘটেছিল কিনা পুলিশ সে বিষয়ে জানতে দুটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মা তপতী পুরকাইত (৭০) ও ছেলে গৌতম পুরকাইতের (৪২) নিথর দেহ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, শেয়ার মার্কেটের ব্যবসা করতেন গৌতম পুরকাইত। সম্প্রতি বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে শেয়ার মার্কেটে টাকা খাটিয়েছিলেন গৌতমবাবু। কিন্তু, তাতে তাদের ব্যাপক লোকসান হয়। এরপরেই পরিবারে অর্থাভাব শুরু হয়। সেই কারণে মাকে খুন করে গৌতমবাবু আত্মঘাতী হতে পারেন বলে পুলিশ মনে করছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, গৌতমবাবুর স্ত্রী রাখী পুরকাইত অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে মগরাহাটে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর স্বামী সেখানে বেশিদিন থাকতে চাননি। বুধবার বাড়ি চলে আসেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে তাকে বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। এরইমধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন গৌতমের স্ত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর তিনি দেখেন ঘরের দরজায় তালা বন্ধ । কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডেকে ঘরের তালা ভাঙেন। ঘরের ভিতরে ঢুকে তিনি স্বামী এবং শাশুড়ির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
ঠিক কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য আজ শনিবার মা ও ছেলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গৌতমবাবুর স্ত্রী রাখি পুরকাইতের কথায়, ‘শুক্রবার সকালে ওর সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল। তারপরে আর কোনও কথা হয়নি। কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না। বাড়িটা বিক্রি করে দিয়েছিলাম। আপাতত কিছুদিন বাড়িতে আমাদের থাকতে দিয়েছে।’