মুরগির গাড়ির আড়ালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রচুর পরিমাণে গাঁজা। তবে পাচারকারীদের সেই ছক বানচাল করল পুলিশ। পাচারের আগেই গাঁজাসহ গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সাঁকরাইলের ধূলাগড় টোল প্লাজায় ওই ভ্যান থেকে ৯৯ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ, যার ওজন ২৩৫ কেজি। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে গাঁজার স্তূপ, শুভেন্দুর সঙ্গে থাকা ছবি প্রকাশ তৃণমূলের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরগি ভর্তি গাড়িটি দিঘা থেকে নদিয়ার চাকদায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধূলাগড় টোল প্লাজায় হানা দেয় পুলিশ। সেখানে মুরগি ভর্তি ভ্যানটিকে আটকানো হয়। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই সেখানে একটি গোপন কুঠুরি দেখতে পান পুলিশ অধিকারিকরা। সেখানে তল্লাশি চালাতেই একের পর এক বেরিয়ে আসে ৯৯ প্যাকেট গাঁজা। এক একটি প্যাকেটের ওজন আড়াই কিলোর কাছাকাছি। সবমিলিয়ে ওই ভ্যান থেকে ২৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধৃত গাড়ি চালক ইলিয়াস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে গাজার প্যাকেটগুলি নদিয়ার রাজু মণ্ডলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল চালকের। এই ঘটনায় ধৃত চালক এবং রাজু মণ্ডলের বিরুদ্ধে মাদক আইনের বিভিন্ন ধরনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে আজ হাওড়া আদালতে তোলার কথা। পুলিশের অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। কোথা থেকে গাজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার জন্য ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাচ্ছে।
এদিকে, এদিনই বীরভূমের মহম্মদ বাজারে একটি সরকারি বাস থেকে উদ্ধার ৬৫ কিলো গাজা উদ্ধার হয়েছে। সেই ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিনজন মহিলাকে। ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থেকে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই গাঁজা। মহম্মদ বাজারের রায়পুর গ্রামের কাছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসটিকে দাঁড় করায় পুলিশ এবং ডিসট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার হয় গাঁজা। কি উদ্দেশ্যে কার কাছে গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার আনুমানিক বাজার দর প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা।