বীরভূমের বোলপুরে কয়লা পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অবৈধভাবে কয়লা মজুদ রাখার অভিযোগ উঠেছে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেখান থেকে প্রায় ৮০ মেট্রিক টন কয়লা উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই কয়লা ডিপোর মালিক ফরিদ খান অবৈধভাবে কয়লা পাচার করতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে গতকাল সন্ধ্যায় খয়রাশোল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী হানা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরিদ খানের এক ছেলে খয়রাশোল থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আইনের রক্ষক ছেলের বাবা কীভাবে এরকম অবৈধ কাজ করতে পারে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় দুবরাজপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর মাধব চন্দ্র মণ্ডল এবং খয়রাশোল থানার ওসি সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আচমকা দহল গ্রামে অবস্থিত ওই অবৈধ ডিপোয় হানা দেয়। তারপরে ফরিদ খানকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইসিএলের আট কর্তা সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। এদিকে, ইতিমধ্যেই কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডির জেরার সম্মুখীন হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার শ্যালিকাকেও নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এছাড়াও, কয়লা পাচার কাণ্ডে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। তারপরে কয়লা পাচার বন্ধ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে পাচারকারীরা এখনও যে সক্রিয় রয়েছে তার ফের প্রমাণ মিলল।