আরজি কর আবহের মধ্যেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল ভিন রাজ্যের এক ছাত্রী মৃতদেহ। ঘটনায় ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। বিশ্বভারতীর আম্রপালি হস্টেলে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্রী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর এক বছর হতে বাকি কিছুদিন, শুরু হল শোকজের চিঠি ধরানোর পর্ব
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর নাম অনামিকা সিংহ। তিনি বারাণসীর বাসিন্দা। বিশ্বভারতীর শিল্প সদনে তিনি পড়াশোনা করতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এরপরেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষর তরফে তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতালে। তবে সেখানে তরুণীর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। এরপর তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাকরা ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এর পাশাপাশি তার পরিবারের লোকজনকেও খবর দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। বিষ খেয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য বা কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সে বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ।
ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ ইতিমধ্যেই আবাসিকদের পাশাপাশি তার সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তাদের বক্তব্য বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা এবিষয়ে মন্তব্য করবেন। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে হস্টেলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অন্যান্য আবাসিকরা। এদিকে, এই ঘৃনা প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে কোনও রকমের গুজব না ছড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।