মুর্শিদাবাদের সালার থেকে উদ্ধার হয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার দুই অপহৃত জমি ব্যবসায়ী। অপহরণ এবং মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী–সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে অপহৃত হয়েছিলেন দুই জমি ব্যবসায়ী। তাঁদের মুক্তিপণের জন্য চাওয়া হয় ২৫ লক্ষ টাকা। তবে রাত ১২টা নাগাদ অভিযোগ পাওয়ার ৩ ঘন্টার মধ্যে মুর্শিদাবাদ থেকে দুই অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ। আর একইসঙ্গে পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী বলে খবর।
ঠিক কী ঘটেছিল মুর্শিদাবাদে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন দুই ব্যবসায়ী। মাঝপথে তাঁদের অপহরণ করা হয়। তারপরই চাওয়া হয় ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। আর মুক্তিপণের এই ফোন পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীর বাড়ির সদস্যরা। তখন তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাত ১২টায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঠিক তার ৩ ঘন্টার মধ্যে মুর্শিদাবাদের সালার থেকে দুই অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এমনকী গ্রেফতার করা হয় পাঁচ অপহরণকারীকে। যাদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী।
পুলিশ ঠিক কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় বীরভূম জেলা পুলিশ। আর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায়ের নেতৃত্বে সি. আই সিউড়ি এবং চারটি থানার ওসিকে নিয়ে গঠন করা হয় একটি টিম। তারপর মুক্তিপণের জন্য আসা ফোন নম্বরটি এবং যে অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দেওয়া হয়েছিল সেটি পরীক্ষা করতেই মুর্শিদাবাদ জেলার সালার এলাকার নাম উঠে আসে এবং এই তথ্য হাতে পাওয়ার পর তড়িঘড়ি শালাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় চার সদস্যের টিম। প্রায় তিন ঘন্টার মধ্যে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই উদ্ধার করা হয় দুই অপহৃত ব্যবসায়ীকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। আর যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল সেটি ফ্রীজ করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের নাম আবদুল হান্নান অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী ও বীরভূমের বাসিন্দা। তিনিই এই অপহরণের ছক কষেছিলেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? জানা গিয়েছে, অপহৃত দু’জন ব্যবসায়ীরা হলেন—জীবনকৃষ্ণ গড়াই ও আনাই শেখ। তাঁরা পেশায় জমি ব্যবসায়ী। এটা আগে থেকেই অপহরণকারীরা জানত। তারা আগে জমি কেনার নাম করে দেখাও করেছিল এই দুই ব্যবসায়ীর সঙ্গে। গোটা বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। ধৃতদের রবিবার বীরভূম জেলা আদালতে তোলা হবে।