সোনারপুরে ভুয়ো টিকাকরণ ক্যাম্প কাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। জানা গিয়েছে, সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে টিকা চুরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে তা লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে বেড়াতেন মিঠুন। সেজন্য টিকা বহনের বিশেষ বাক্সও কিনে ফেলেছিল সে। টিকা গ্রহণের কয়েকদিন পর পৌঁছে যেত সার্টিফিকেটও।
সোনারপুর থানার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ডায়মন্ড হারবার পঞ্চগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ছিলেন মিঠুন। জেলারই মশাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন কোঅর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে টিকা চুরি করে বিশেষ বাক্সে করে আনতেন সোনারপুরে। সেখানে টিকাকরণ করতেন তিনি। গত এপ্রিল থেকে এই কারবার চলছিল বলে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। এখনো পর্যন্ত ৪৫ জনকে বেআইনিভাবে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, টিকা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, অনেকে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার কয়েকদিন পর সার্টিফিকেট পেয়েছেন। অনেককে আবার দ্বিতীয় ডোজের সময় হওয়ার আগেই টিকা দিয়েছেন মিঠুন। তবে কারও শরীরে কোনও উপসর্গ নেই।
মঙ্গলবার মশাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। জানা যায়, সেখানে সরকারি খাতায় গরমিল করে অন্তত ৪০ জনকে বেআইনিভাবে টিকা দিয়েছেন ওই যুবক। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মিঠুন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত কি না তা জানতে তদন্ত চলছে।