সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের। গৃহবধূকে খুন করে কবর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতের মায়ের অভিযোগ পেয়ে রবিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর খুঁড়ে বধূর দেহ বের করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মিলনগড় কোচপুকুর এলাকায়।
স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির উপস্থিতিতে মৃতের দেহ কবর খুঁড়ে তোলা হয়। তারপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম ডলি খাতুন। মৃতের মা তাজকেরা বলেন, ‘ওরা আমাকে ও ছোটো মেয়েকেও খুন করার কথা বলে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ডলিকে ওরাই খুন করেছে। আমি নিজেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।'
পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর বধূর মা ও বাবা মাঠে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে একা ছিলেন ডলি। ঘণ্টাখানেক বাদে তাঁদের ফোন করে জানানো হয় যে, ডলি মারা গিয়েছেন। তাজকেরার অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। পরে বাড়িতে ফিরে তিনি দেখেন যে, খাটে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ে।
শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানায়, ডলি ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। এরপরেই পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি কবর দেন। কিন্তু মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সরব হন মা। তাঁর আরও অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। সেজন্য তিনি এতদিন ভয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। তবে বাঁধ ভাঙে শুক্রবার। বড় মেয়ের মতো তাঁর ছোটো মেয়েকেও খুন করা হবে বলে তাজকেরাকে হুমকি দেয় ডলির দেওর তরিকুল ইসলাম। তখনই থানায় গিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের মা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।