প্রায় ৪৭৭ বছরের প্রাচীন কালীমন্দির। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা করুণাময়ী কালী মন্দির। সেই মন্দির থেকে খোয়া গিয়েছিল সোনার অলঙ্কার। ভক্তরা দেবীর চরণে নিবেদন করেছিলেন যে অলঙ্কার তা নিয়েও চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মুকুট, হাতে থাকা অস্ত্র সবই ছিল সোনার। এমনকী স্থানীয়দের দাবি খাঁড়ার ওজনই প্রায় ৭০০ গ্রাম। থানা থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরত্বে থাকা এই কালীমন্দিরে কীভাবে চুরির ঘটনা হল তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। এদিকে গহনা উদ্ধারের দাবিতে এলাকায় পথ অবরোধে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। বাসিন্দাদের দাবি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা ছিল। এমনকী দেবীমূর্তির গায়ে হাত দিলে সাইরেনও বাজার কথা। এতসব সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে মন্দিরের গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এই ঘটনায় ৬জনকে গ্রেফতারও করে। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে দুষ্কৃতীরা যাযাবরের বেশে এলাকায় ঘুরে বেড়াত। এরপরই তারা মন্দিরে চুরির ব্যাপারে ছক কষেছিল।
তবে মন্দির থেকে চুরি যাওয়া সেই গহনা অবশেষে উদ্ধার করল পুলিশ। পশ্চিমমেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া গহনা। সোনার গয়না ও বিগ্রহের হাতে থাকা অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার মূর্তিও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সোনার মুকুটটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। ধৃতদেরও জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারাই লুকিয়ে রাখা গহনা পুলিশকে দেখিয়ে দেয়।