বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তের কাছে অফিসে কাজ করার সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিক। যশোর রোডের যানজট থেকে রক্ষা পেতে ৮৯ কিমি রাস্তা গ্রিন করিডোর করে কলকাতায় আনা হল ওই আধিকারিককে। অবশেষে শুল্ক দফতরের ওই আধিকারিককে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। সাধারণত অধিকাংশ সময়ই যশোর রোডে যানজট থাকে। সেই অবস্থায় রাস্তা যানজট মুক্ত করতে জেলার পুলিশ যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে গ্রিন করিডোর করেছে তাতে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা উঠে এসেছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে শুল্ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ওই আধিকারিকের নাম খুরশিদ রেহান। গতকাল কাজ চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় বনগাঁ হাসপাতাল। সেখানে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকরা তাকে কলকাতার কোনও একটি হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে, হাতে সময় কম থাকায় অতি দ্রুত ওই আধিকারিকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বসে গ্রিন করিডোরের রোড ম্যাপ তৈরি করে নেওয়া হয়। গ্রিন করিডোর করে ওই আধিকারিককে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৮৯ কিমি রাস্তা যানজট মুক্ত রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বনগাঁ, হাবড়া, বারাসাত অবশেষে অতি অল্প সময়ে কলকাতায় পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্স। এর জন্য হাসপাতাল থেকে রীতিমতো স্কোয়াড করে পুলিশকে বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়। রাস্তার যানজট মুক্ত করতে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিকদের।
কলকাতায় এনে ওই আধিকারিককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয় আধিকারিকের। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এর জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।