মালদায় বাবলা সরকার খুনের পর প্রকাশ্যে প্রাণের আশঙ্কা জানিয়ে পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। শাসকদল করেও কি বাঁচানো যাবে পিতৃপুরুষের দেওয়া প্রাণটা? প্রশ্ন উঠছে বহু তৃণমূল নেতার মনেই। এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের নেতাদের একাংশের মনোবল ফেরাতে দলেরই ব্লক সভাপতির গাড়িতে তল্লাশ চালাল পুলিশ। মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতু সফিউজ্জামানের গাড়িতে শুক্রবার তল্লাশি চালিয়েছে বহরমপুর পুলিশ। এই ঘটনায় বিরোধীদের প্রশ্ন, যাদের ওপর রাজ্য চালানোর ভার দিয়েছে সাধারণ মানুষ, তাদের ওপরেই ভরসা নেই পুলিশের?
শুক্রবার গাড়ি নিয়ে বহরমপুরে গিয়েছিলেন নওদায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান। শহরের ব্যস্ত এলাকায় গাড়ি রেখে কোনও কাজে যান তিনি। তখনই সেখানে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। তখন গাড়িতে ছিলেন না তৃণমূল নেতা। তবে চালক ও কয়েকজন অনুগামী ছিলেন সেখানে। তাদের সামনেই গাড়ি তল্লাশি করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে গাড়ি থেকে কী পাওয়া গিয়েছে তা জানা যায়নি।
গত ৫ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের নওদায় একটি গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিতে আহত হন একজন তৃণমূলকর্মী। এর পর বুধবার নওদায় এক সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ব্লক সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তারই মধ্যে সফিউজ্জামানারে গাড়ি তল্লাশিতে একাধিক প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘তৃণমূলটা এখন দুষ্কৃতীরা দখল করে নিয়েছে। এতদিন প্রাণ বাঁচাতে সমস্ত দুষ্কৃতী তৃণমূলে নিরাপদ মনে করত। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতা এত বেড়ে গিয়েছে যে তারা নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করতে দ্বিধা করছে না। তাই তৃণমূলের একাংশের আস্থা ফেরাতে এই তল্লাশি। রাজ্যবাসী বুঝুক, কাকে দিয়েছে রাজার পাট।’