উলুবেড়িয়ার ঘটনার ঠিক পরেই রাতের অন্ধকারে মাঝ নদীতে অভিযান চালাল পুলিশ। অভিযান চালাতেই উদ্ধার হল ৮,০০০ লিটার চোলাই এবং দেশি মদ। শুক্রবার গভীর রাতে হুগলি নদীতে এভাবেই অভিযান চালাল ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা পুলিশ। পাঁচটি নৌকাতে করে এই সমস্ত চোলাই এবং মদ উলুবেড়িয়া থেকে পাচার করা হচ্ছিল। সেই খবর পাওয়া মাত্রই একেবারে মাঝ নদীতে হানা দেয় ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুল দে’র নেতৃত্বে হুগলি নদীতে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচটি নৌকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০০ টি জার। প্রতিটি জারে ছিল ২০ লিটার মদ ও চোলাই। ঘটনায় দু'জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম মোহন চক্রবর্তী এবং বিভাস কয়াল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা। উলুবেড়িয়া থেকে এই চোলাই এবং দেশি মদ নিয়ে তারা অন্যত্র পাচার করছিল। কিন্তু সেই খবর পাওয়ার পরেই ফলতা থানার এলাকার কাছে অভিযানে নামে পুলিশ। প্রাথমিক জেরায় পুলিশের অনুমান, এই পরিমাণ মদ কুলপির দিকে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারীদের।
ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার সময় বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এই ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে এবং কাদের পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল, সেই সমস্ত তথ্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার ঠিক আগেই উলুবেড়িয়ার হিরাপুরের একটি গ্রামে পুলিশের সঙ্গে আফগারি দফতরের আধিকারিকরা যৌথভাবে চোলাই বিরোধী অভিযানে নেমেছিলেন। কিন্তু সেইসময় পাচারকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। যদিও পরে পুলিশ গ্রামে ঢুকে প্রচুর পরিমাণে চোলাই এবং এগুলি তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার বাজেয়াপ্ত করে। সেইসময় বেশ কিছু পাচারকারী হুগলি নদীতে নৌকা করে পালিয়ে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপরেই ডায়মন্ডহারবার মহকুমা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রচুর মদ বাজেয়াপ্ত করে। মিতুল দে জানিয়েছেন, ‘পাঁচটি নৌকা আটক করে ৮ হাজার লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’