স্থায়ী পেশা বলতে চুরি ও ডাকাতি। নাম দিল মহম্মদ। হলদিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে। আদতে সে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। মাঝেমধ্যেই সে দিল্লিতে ডেরা নিত। সেখানে ছোটখাটো কাজ করত। এদিকে সম্প্রতি সে হলদিয়ার রজলালচক এলাকায় বসবাস করছিল। এদিকে হলদিয়ায় সম্প্রতি এক ঠিকাদারের বাড়িতে চুরি হয়েছিল। সেই চুরির তদন্তে নেমে পুলিশ দিল মহম্মদের খোঁজ পায়। আর সেই দিল মহম্মদের ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তো হতবাক।
ভবানীপুর থানা এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত সে। সেখান থেকেই চুরি, ডাকাতি সহ নানা অপরাধের ছক কষা হত বলে অভিযোগ। আর সেই ভাড়াবাড়়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দেখে, সেখানে সাজানো রয়েছে সোনার গহনা, মূল্যবান হাত ঘড়ি, নানা ধরনের শৌখিন সামগ্রী। তার কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশের ধারনা এগুলি সবই চুরির সামগ্রী। চুরি করে এখানে জিনিসপত্র মজুত করা হয়েছিল। তবে চুরি করলেও সে বিলাসবহুল জীবন যাপন করত।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সে দিল্লিতেও একাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। সেখানে থেকে চম্পট দিয়ে সে হলদিয়ায় গা ঢাকা দিয়েছিল। পরে ঠিকাদারের বাড়়িতে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দিল মহম্মদের সন্ধান পায়। পুলিশ জানতে পারে, দিল মহম্মদের দুটি বিয়ে। দিল্লিতে চুরির ঘটনায় দিল্লি পুলিশের টিম গ্রেফতার করেছিল দিল মহম্মদকে। সেই সময় তার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা জাপানি রেসিং বাইকও মিলেছিল। আর এবার হলদিয়া পুলিশ তার কাছ থেকে পেল প্রচুর সোনাদানা।