বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ভূপতিনগর বিস্ফোরণে নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই মামলা করল পুলিশ

ভূপতিনগর বিস্ফোরণে নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই মামলা করল পুলিশ

চালে ঝুলছে তৃণমূলের পতাকা। বিস্ফোরণের পর শনিবার সকালে রাজকুমার মান্নার বাড়ি।

রাজকুমার মান্নার প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তাঁর বাড়িতে কখনও বাজি বানানো হতো বলে তাঁরা শোনেননি। দোকান থেকে কিনে এনে অনুষ্ঠানে বাজি ফাটাতেন তাঁরা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কে বলছে সত্যি কথা?

ভূপতিনগর বিস্ফোরণে নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তৃণমূলের মৃত বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ফায়ার সার্ভিস আইনের ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে নিহতদের দেহ কী করে ঘটনাস্থল থেকে অত দূরে গেল তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তদন্তকারীরা।

পুলিশের দাবি, নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। শ্রমিকদের এনে বাজি তৈরি করতেন নিহত রাজকুমার মান্না। বাড়িতে বাজি তৈরি করতে বারবার বারণ করলেও শোনেননি তিনি। শনিবার রাত ৯টা থেকে বোমা বাঁধতে বসেছিলেন রাজকুমারবাবু ও তাঁর ২ ভাই। পাশের বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তখনই প্রচণ্ড শব্দ পান তিনি। ছুটে এসে দেখেন, চারিদিকে ধোঁয়া। ধুলোয় মিশে গিয়েছে বাড়ি।

যদিও রাজকুমার মান্নার প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তাঁর বাড়িতে কখনও বাজি বানানো হতো বলে তাঁরা শোনেননি। দোকান থেকে কিনে এনে অনুষ্ঠানে বাজি ফাটাতেন তাঁরা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কে বলছে সত্যি কথা? সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে বাড়ি থেকে বেশ কয়েকশ মিটার দূরে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হল নিহত তৃণমূল নেতা ও তাঁর ২ ভাইয়ের দেহ। নিছকই দুর্ঘটনা ঘটে থাকলে দেহ লোপাটের চেষ্টা হবে কেন?

ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্ত NIA-র হাতে যাওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্বল চিত্রনাট্য। পুলিশ চাপ দিয়ে এসব কথা মৃতের স্ত্রীকে দিয়ে বলাচ্ছে। এর আগে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ, বগটুই কাণ্ডেও তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। এবারও তেমন চেষ্টা হচ্ছে।’

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সব অনুুপ্রেরণার ফল। অনুপ্রেরণার ঠেলায় তৃণমূল নেতা বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছে। এখন সেই অনুপ্রেরণা বর্ষিত হচ্ছে তাঁর স্ত্রীর ওপর।’

 

বন্ধ করুন