বাবা অত্যন্ত গরিব। ভেবেছিলেন মেয়েকে পাত্রস্থ করে একটু স্বস্তি মিলবে। কিন্তু নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন বাবা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের ঘটনা। পাত্রীয় বয়স ১৭ বছর। বজবজের কিশোরপুরে নিজের বাড়িতে এনে মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার মাসি। সেই মতো যাবতীয় ব্যবস্থাও হয়েছিল। আত্মীয় স্বজনরাও চলে এসেছিলেন বাড়িতে। সামর্থ্য অনুসারে আয়োজনও হয়েছিল। সানাইয়ের সুর, বাড়ি ভর্তি লোকজন জানান দিয়েছিল বাড়িতে বিয়ের আসর বসেছে। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সন্ধ্যাবেলা আচমকাই মহেশতলা থানা, বজবজ থানা, কালীতলা আশুতি থানার পুলিশ এসে হাজির দোরগোড়়ায়।
পুলিশ দেখে তো হতবাক বাড়িল লোকজন। তবে পুলিশ কর্তারা গোটা বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়েছেন।এরপর পুলিশ ওই নাবালিকা পাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তার মাসিকেও নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তবে নিতান্ত সমস্যায় পড়েই দিনমজুর বাবা তাঁর নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে দিয়ে চেয়েছিলেন একথাও মেনে নিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, আসলে পাত্রীর বাবা অত্যন্ত গরিব। নেহাত সমস্য়ায় পড়েই তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি মেয়ের পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করতে পারছিলেন না। সেকারণেই মেয়েকে একজন ভালো পাত্রের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন বাবা। কিন্তু তার যে বিয়ের বয়স হয়নি তা ঠিকঠাক অনেকেই জানতেন না। এদিকে কেন নাবালিকার বিয়ে দেওয়া উচিৎ নয় সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ওই কন্যাকে আরও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।