বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Child Marriage: বরযাত্রী আসার আগের মুহূর্তে উত্তর দিনাজপুরে দুই নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন

Child Marriage: বরযাত্রী আসার আগের মুহূর্তে উত্তর দিনাজপুরে দুই নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন

নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। নিজস্ব ছবি।

ওই নাবালিকা সাহেবঘাটা হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। অন্যদিকে, আরও এক নাবালিকা কালিয়াগঞ্জের পুরিয়া মহেশপুর হাইস্কুলের ছাত্রী। তারও বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল পরিবার। সেই সময় ফোনে কেউ একজন চাইল্ড লাইনে ফোন করে নাবালিকার বিয়ের কথা জানায়।

বিয়ের প্রস্তুতি শেষ। বরযাত্রী আসারও সময় হয়ে গিয়েছিল। ঠিক শেষ মুহূর্তে একই রাতে দুই নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল পুলিশ প্রশাসন। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুরে এবং রাধিকাপুর পঞ্চায়েত ফরিদপুরে গতকাল দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে প্রশাসন। ফোনে নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে দু'টি বিয়ে বাড়িতে হানা দেন পুলিশ প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুরে বরযাত্রী আসার আগ মুহূর্তে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা হয়। ওই নাবালিকা সাহেবঘাটা হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। অন্যদিকে, আরও এক নাবালিকা কালিয়াগঞ্জের পুরিয়া মহেশপুর হাইস্কুলের ছাত্রী। তারও বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল পরিবার। সেই সময় ফোনে কেউ একজন চাইল্ড লাইনে ফোন করে নাবালিকার বিয়ের কথা জানায়। দুই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের বোঝান পুলিশ প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দিলে সে ক্ষেত্রে জেল হতে পারে বলেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয় নাবালিকার অভিভাবকদের।

চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস জানান, ‘এদিন টেলিফোনে দুই নাবালিকার বিয়ের খবর আসে। সেই খবরের সূত্র ধরে এই বিয়ের উদ্যোগ বন্ধ করতে দুই নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভিভাবক এবং গ্রামের মানুষকে বোঝানো হয় পাত্রীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দেওয়া আইনত বৈধ নয়। পাশাপশি বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে। এছাড়াও, মেয়েদের পড়াশোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথী, রূপশ্রী প্রভৃতি প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়। সবকিছু শোনার পর ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিভাবকরা।’

বন্ধ করুন