রামনবমীর মিছিল থেকে অশান্তি শুরু হয়েছিল রিষড়ায়। আর সোমবার রাতে আবার অশান্তি শুরু হওয়ায় হাওড়া–ব্যান্ডেল মেইন শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল তিন ঘণ্টা। রিষড়া রেল স্টেশনের কাছে ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তি ছড়াতেই সেখানে রাত থেকেই মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। চন্দননগর কমিশনারেট, হুগলি গ্রামীণ পুলিশ, রেল পুলিশের যৌথ উদ্যোগে রাতেই অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে এলাকা।
ঠিক কী দেখা যাচ্ছে? আজ সকাল থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী টহল দিচ্ছে এলাকায়। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশের সঙ্গে রয়েছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ এবং হাওড়া পুলিশ। এমনকী ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের দলও উপস্থিত রয়েছে। কোনও অশান্তি যাতে না হয় তার জন্য প্রতিটি মোড়ে, গলিতে, বড় রাস্তায় পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে রয়েছে টিয়ার গ্যাস, লাঠি। আজ, মঙ্গলবার সকালে রিষড়া ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায় খুব কম মানুষজনের যাতায়াত দেখা যাচ্ছে। রেল পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ রিষড়া ৪ নম্বর রেল গেটের কাছে নজরদারি চালাচ্ছে। ট্রেন চলাচলে যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে।
আর কী দেখা যাচ্ছে? আজ, মঙ্গলবার সকালে থমথমে পরিস্থিতি দেখা যায় রিষড়ায়। সকাল থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়তি পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ছোটখাটো দোকানপাট সকালের দিকে খোলেনি। এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গত দু’দিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তার জেরে রিষড়ায় বসে অনলাইনের কোনও কাজ করতে পারছেন না সেখানকার মানুষজন। আগামী দিনে আর কখনও যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকেই।
তারপর ঠিক কী ঘটেছে? দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রশাসনকেও যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ, শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে ট্যুইটে খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী। দেশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী বলে পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সকাল ১১টা থেকে শ্রীরামপুরের বটতলায় অবস্থানে বসবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত ছাড়াও এই অবস্থানে যোগ দেবেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। গতকালের তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।