নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দুর ‘অরাজনৈতিক সভা’-র পরদিনই তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন তৃণমূল নেতার সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন। এদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন। এছাড়া নন্দীগ্রামের শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন মোসারফ সাহেব। পদক্ষেপকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এদিন মোসারফ সাহেব ছাড়াও নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহের ও মেঘনাথ পালের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শুভেন্দুর সভার অন্যতম আয়োজক ছিলেন তাঁরা। ছিলেন ওই সভার মঞ্চেও। বুধবার তাঁদের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জেনে আবু তাহের সাহেব বলেন, ‘এটা আমার কাছে দুর্ভাগ্যজনক। আমি এখনো তৃণমূল ছাড়িনি। এখনো তৃণমূলের সৈনিক। শুভেন্দু অধিকারী এখনো তৃণমূল ছাড়েননি। তাঁকে দল বহিষ্কারও করেনি। বছরে ৪ দিন BUPC করি। বাকি দিন আমাদের হাতে থাকে তৃণমূলের ঝান্ডা’।
নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেনেরও। গত রবিবার খড়গ্রামে শুভেন্দুর সভার প্রধান আয়োজক ছিলেন তিনি। বুধবার তিনি বলেন, ‘এতবড় জেলার সভাধিপতি আমি। সারা দিন ছুটে বেড়াতে হয়। সেই জেলার সভাধিপতির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। আগামী দিনে মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ আমার পাশে থাকবে। তাঁরাই আমাকে নিরাপত্তা দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালকে জানিয়েছি’।
এই ঘটনায় রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, রাজনৈতিক চাপে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাপধিপতির নিরাপত্তা প্রত্যাহার উদ্বেগজনক। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে লেনদেনের অংক চলে না। এই ঘটনায় বোঝা যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত ও অসাংবিধানিক।